রাজারহাটের ইউএনও উপজেলাবাসীকে শুনালেন আশার বাণী

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রামঃ বিশ্বের বেশিরভাগ রাষ্ট্র এখন (কোভিড-১৯) এর করাল গ্রাসে নিপতিত।প্রতিদিন নিউজ হয় শুধু আক্রান্ত ও লাশ নিয়ে। ভরা যৌবন নিয়ে নিজের রুপ- লাবন্যের জানান দিচ্ছে মহামারী রূপ ধারণ করা (কোভিড-১৯)।
বাংলাদেশেও বিস্তার ঘটেছে করোনা নামের ভয়াবহ এ ভাইরাসটির। যার ভয়াবহ থাবা থেকে নিস্তার নেই যেন কারোরই। স্বাস্থ্যসেবী, প্রশাসন, গণমাধ্যমকর্মী ইত্যাদি যারা করোনাকে উপেক্ষা করে নিজের জীবন বাজি রেখে সম্মুখযোদ্ধার আসনে সমাসীন, মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে যারা প্রশংসনীয়, তবুও তাদের ছাড়ছেনা মরণঘাতী করোনা।
পুলিশ, ইউএনও, ম্যাজিস্ট্রেট, স্বাস্হ্যকর্মী, সাংবাদিক, মসজিদের ইমাম পর্যন্তও করোনার স্বীকার। ব্যস্ত শহরগুলি কেমন যানি ফাঁকা পরে আছে, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাগুলি প্রাণহীন স্থবির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। প্রশ্ন একটাই-কবে হবে আবারও আগের সেই চিরচেনা রুপের প্রকৃতির দেখা! ভালোবাসা, দৃঢ় বন্ধন, সহমর্মিতা সবকিছু সৃষ্টিকর্তার লীলার সমাহার, যেন সবকিছুই স্বাভাবিক ভাবেই নতুনত্ব নিয়ে আবারো হাজির হবে এমনটাই আশা- আকাঙ্ক্ষা সকলের।
এরই প্রেক্ষাপটে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জোবায়ের হোসেন তার নিজস্ব বহিঃপ্রকাশ তুলে ধরেছেন এভাবে- “নতুন সূর্য উঠবেই, একদম টকটকে লাল একটা নতুন সূর্য। জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিবে ভয়াবহ করোনার সকল ভয়াবহতা। থাকবে না সামাজিক দূরত্ব নামক মানসিক কষ্ট, আপনারা আবার পরম মমতা আর ভালবাসায় হ্যান্ডশেক করবেন প্রিয়জনদের সাথে, বুকে জড়িয়ে ধরবেন প্রাণের বন্ধুদের, বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মেতে উঠবেন চায়ের দোকানে, খেলার মাঠে নামবেন নতুন শক্তি নিয়ে, সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়বেন নিজ নিজ কাজে।
পৃথিবীতে আবার ফিরে আসবে গতি, সবাই ফিরে পাবেন প্রাণচাঞ্চল্য। আপনাদের সেই লাল টকটকে নতুন সূর্য আর প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে দেওয়ার অপেক্ষার প্রহর গুণছি আমরা। শুধু দোয়া করবেন, ততদিন যেন শক্তি, সাহস আর মনোবলটা ধরে রাখতে পারি”।